বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ)-এর সহযোগিতায় সফলতার অনন্য এক স্বীকৃতি :

২০২৪ সালের একুশে পদক পেলেন দই বিক্রেতা জিয়াউল হক।

বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ)-এর সহযোগিতায় সফলতার অনন্য এক স্বীকৃতি : ২০২৪ সালের একুশে পদক পেলেন দই বিক্রেতা জিয়াউল হক।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জিয়াউল হক বলেন – “…১৯৯৩ বা তারও পরে ভোরের কাগজে ‘দইওয়ালার বই ভান্ডার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের তৎকালীন কর্মকর্তা (নির্বাহী পরিচালক) ও বর্তমানের টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আমার বাড়িতে এসে পাঠাগারের জন্য এক লাখ টাকা অনুদান দিলে পাঠাগার সমৃদ্ধ হয়। পরে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রবাসে থাকা মানুষজন, দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষজন আমাকে আর্থিক সহায়তা দিতে থাকেন।… এ জীবনে অনেক সম্মাননা পেয়েছি। তবে একুশে পদক কখনো পাব ভাবিনি।”
ফেরি করে দই বিক্রি করে আয়ের অর্থে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিভৃত পল্লীর গরিব–অসহায়-এতিম শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে বিনামূল্যে পাঠ্য ও অন্যান্য বই বিলির মাধ্যমে জিয়াউল হকের অনন্য সমাজসেবার স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের মূল তিনটি লক্ষ্যের (দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, নিপীড়ন হতে মুক্তি) আলোকে ‘অজ্ঞতা হতে মুক্তির’ লক্ষ্যে এগিয়ে আসে। জিয়াউল হক প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরিতে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন-এর পক্ষ হতে তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ২০০২ হতে ২০০৭ সালের বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১,৬২,০৩৫ টাকার বই ও ৩টি বই রাখার আলমারি প্রদান করে লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করেন, পাশাপশি জিয়াউল হকের অদম্য মনোবলকে দৃঢ় প্রত্যয়ী করে তোলেন।
জিয়াউল হকের দৃষ্টান্তমূলক সমাজ সেবার অংশীদার হতে পেরে বিএফএফ সে সময়ে যেমন গর্বিত ছিল, ২০২৪ সালে তাঁর রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক প্রাপ্তিতে আজও সমানভাবে গর্বিত ও আনন্দিত। তাঁর সফলতার অংশীদারের বিনয়ী দাবিদার বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনও।
একুশে পদক পেলেন দই বিক্রেতা জিয়াউল হক। ছবি : সংগৃহীত।